Sunday, May 3, 2015

সহবাস/যৌন মিলনে রতিসুখে বাধ সাধতে পারে বিরল অ্যালার্জি !

কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, শরীর, মন সাড়া দিলেও যৌন মিলনে প্রবল অনীহা সৃষ্টি হয়েছে। অস্বস্তিকর এই পরিস্থিতির পিছনে থাকতে পারে অ্যালার্জির আতঙ্ক। চিকিত্‍সা বিজ্ঞানীদের মতে, বীর্যের সংস্পর্শে এলে কিছু কিছু মহিলার ত্বকে বিভিন্ন উদ্ভট উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এর ফলে ক্রমে সঙ্গমের নাম শুনলে ভীত হয়ে পড়েন তাঁরা। মার্কিন যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্ড্রু ওয়েইল জানিয়েছেন, শুক্রের সংস্পর্শে এলে কিছু কিছু নারীর ত্বকে উল্লেখজনক পরিবর্তন ঘটে। সংখ্যায় এমন মহিলারা যদিও বিরল, তবু সমস্যাটি জটিল।

সম্প্রতি ডক্টর ওয়েইলের কাছে আরেক যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ এমনই এক রোগীকে পাঠান। মহিলার দাবি, প্রণয়ীর সঙ্গে যৌন মিলনের সময় কোনও ভাবে যদি তাঁর ত্বকে বীর্যের ছোঁয়া লাগে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তীব্র চুলকানি, জ্বালা এবং প্রদাহ সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়ায় যে ধীরে ধীরে সঙ্গীর যৌন আহ্বানে সাড়া দিতে গেলে রীতিমতো আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন এই নারী। শুধু এই ক্ষেত্রেই নয়, এ ধরনের আরও কয়েকটি ঘটনার কথা জানতে পেরেছেন বলে দাবি ওয়েইলসের। তিনি জানিয়েছেন, উপরোক্ত সমস্যাগুলি ছাড়াও শুক্রের সংস্পর্শে এলে শ্বাসকষ্ট, যন্ত্রণাময় র‌্যাশের মতো উপসর্গেও ভুগতে পারেন অনেক মহিলা।
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কিছু দিন আগে মোট ১০৭৩ জন নারীর উপর সমীক্ষা চালানো হয়। দেখা গিয়েছে, এঁদের মধ্যে ১৩ শতাংশের ত্বকে সঙ্গীর দেহ নিসৃত বীর্যবাহিত অতিরিক্ত প্রোটিনের (হিউম্যান সেমিনাল প্লাজমা প্রোটিন) ছোঁয়া লাগে। প্রতিক্রিয়ায় ওই মহিলাদের ত্বকে তৈরি হয় এক বিশেষ অ্যান্টিবডি। সাধারণত বিশেষ এক সঙ্গীর সঙ্গে যৌন মিলনের ফলেই এই উপসর্গ দেখা দেয়। তবে কিছু কিছু মহিলার ক্ষেত্রে একাধিক পুরুষের শয্যাসঙ্গী হয়েও একই সমস্যা সৃষ্টি হয়। তবে চিকিত্‍সকরা জানাচ্ছেন, শরীরে অন্য অ্যালার্জির উপস্থিতি থাকলে এই প্রবণতা বাড়ে।

সমস্যার কারণ :- গবেষকদের বক্তব্য, এই সমস্ত মহিলার ত্বক বীর্যে উপস্থিত হিউম্যান সেমিনাল প্লাজমা প্রোটিনের সংস্পর্শে এলে অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। তার ফলেই দেখা দেয় অস্বস্তিকর দৈহিক পরিবর্তন। অনেক সময় সঙ্গীর দেহে উপস্থিত কোনও অ্যালার্জি শুক্রের সাহায্যে নারীদেহে ছড়িয়ে পড়াও অসম্ভব নয় বলে তাঁদের মত। আবার, সঙ্গীর খাদ্যাভ্যাস বা নিয়মিত সেবন করা ওযুধের প্রতিক্রিয়াতেও অনেক সময় অ্যালার্জি সৃষ্টি হতে পারে। 

সমস্যার সমাধান :- অভিজ্ঞ কোন হোমিও ডাক্তারের পরামর্শ নিন। একই সঙ্গে কন্ডোম ব্যবহার করাও বেশ সুফল দায়ক। তবে কোনো প্রকার অবহেলা না করে আপনার হোমিওপ্যাথের সাথে কথা বলুন। চিন্তার কারণ নেই; যথাযথ হোমিও ট্রিটমেন্ট নিলে খুব শিগ্রই এই সমস্যা দূর হয়ে যায়।

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

Leave your comment

Post a Comment