ত্বকের অ্যালার্জি
গরমে ঘাম হলে এবং ধুলাবালির কারণে অনেকের ত্বকে ফাঙ্গাস বা ছত্রাকের আক্রমণ ঘটে। এর ফলে চুলকানি, র্যাশ, অ্যালার্জির সমস্যা দেখা যায়।
এ থেকে রক্ষা পেতে বাড়তি সতর্কতা দরকার।* যারা অ্যালার্জির সমস্যায় ভুগছেন, তারা কাঁচা হলুদ বাটা ও শশার রস লাগালে উপকার পাবেন।
* গাজরের রস বা দুর্বাঘাসের রস লাগালেও উপকার পাবেন। * ধুলাবালি ও কোলাহলপূর্ণ স্থান এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করুন।
* আরামদায়ক, নরম ও সূতি কাপড়ের পোশাক পরুন। যাতে পোশাকটি সহজেই ঘাম শুষে নেয়। সমস্যা বেশি হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো ছত্রাকনাশক ক্রিম, লোশন ও পাউডার ব্যবহার করুন।
ব্রণের সমস্যা দূর করতে আমাদের ত্বকে রয়েছে তেলগ্রন্থি। এই গ্রন্থিতে ধুলোবালির সাথে ঘাম-ময়লা জমে যখন তেল বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায় তখনই ত্বকে দেখা দেয় ব্রণ।
এর থেকে রক্ষা পেতে হলে সবচেয়ে বেশি জরুরী ত্বক পরিষ্কার রাখা। দিনে যতবার সম্ভব মুখে পানির ঝাপটা দিন। কোন কৃত্রিম প্রসাধনী ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করুন।
* বেসনে শশার রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর তা ধুয়ে ফেলুন।
* ময়দা ও গোলাপজলের মিশ্রণ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন।
* লবঙ্গ ও মেথি একসাথে পিষে মিশ্রণটি ব্রণের উপর লাগিয়ে রাখুন। ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণ কমে যাবে। তেল ও ঘামমুক্ত ত্বক তেল মুক্ত ক্রিম, লোশন ও ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। যাদের মুখ তৈলাক্ত তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য। এছাড়া
* বাইরে বের হওয়ার আগে ১০ মিনিট ত্বকে বরফ ঘষুণ।
* সানক্রিম ব্যবহার করুন। ক্রিমের উপর হালকা করে পাউডার লাগতে পারেন।
* পাতিলেবুর রস তুলায় ভিজিয়ে ত্বকে দুবার লাগাতে পারেন। অতিরিক্ত ঘাম ত্বকের আর্দ্রতা কমিয়ে ফেলে। ফলে লোমকূপের গোড়ায় বাসা বাঁধে রোগ জীবাণু। এর থেকে ঘামাচি হয়। অতিরিক্ত ঘামাচির কারণে ত্বক বাদামি বর্ণের হয়ে যায়। তাই ঘাম বেশি হলেও, তাড়াতাড়ি মুছে ফেলার চেষ্টা করুন। নিয়মিত গোসল করুন। প্রচুর পানি পান করুন। এছাড়া..
* যাদের ত্বকে নিয়মিত ঘামাচি হয়, তারা নিমপাতার রস লাগালে উপকার পাবেন।
* তেতো জাতীয় খাবার খান।
* ঘাম বেশি হলে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে এক চিমটি খাওয়ার সোডা ব্যবহার করতে পারেন।
* নিয়মিত ডিওডোরান্ট ও বডি স্প্রে ব্যবহার করুন।
Leave your comment
Post a Comment